চন্দ্রমল্লিকা(ইংরেজি:- Chrysanthemum), বৈজ্ঞানিক নাম Chrysanthemum indicum একটি অতি পরিচিত ফুল। অন্যান্য নামের মধ্যে চন্দ্রমুখী,সেবতি,Gul dawoodi উল্লেখযোগ্য।
চন্দ্রমল্লিকার ইংরেজি প্রতিশব্দ ক্রিস্যানথিমাম। শব্দটি গ্রীক্ থেকে এসেছে। ক্রিসস অর্থ ‘সোনা এবং এনথিমাম অর্থ ‘ফুল’ I এই ফুলের অনেকগুলি প্রজাতি রয়েছে। বেশিরভাগ প্রজাতির উৎপত্তি পূর্ব এশিয়া থেকে এবং এই ফুলের বৈচিত্র্যের কেন্দ্রস্হল হল চীন। এটি বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ হয়। বিভিন্ন রংয়ের এই ফুলগুলোর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমূল্য রয়েছে প্রথম সারিতে।
চন্দ্রমল্লিকার ভেষজ গুণাগুণ :– চন্দ্রমল্লিকার রস ঠান্ডা, জ্বর, সর্দি ইত্যাদি রোগে ভালো কাজ করে। চোখের লালভাব, চোখ ফোলা সারাতে চন্দ্রমল্লিকার রসে ভালো উপকার পাওয়া যায়। চন্দ্রমল্লিকাতে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক যা ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। এছাড়াও চন্দ্রমল্লিকার রস ডায়াবেটিস,হৃদরোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
আজ এই পর্বে তোমাদের জন্য রইল শুকিয়ে যাওয়া চন্দ্রমল্লিকা ফুল থেকে জৈব কীটনাশক তৈরীর পদ্ধতি…
প্রয়োজনীয় উপকরণ :- শুকিয়ে যাওয়া চন্দ্রমল্লিকা ফুল ও এক লিটার জল।
বি:দ্র :- এক্ষেত্রে পুকুরের জল,কলের জল,কুয়োর জল,বৃষ্টির জল সরাসরি ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু কর্পোরেশনের পাইপ লাইনের জল ব্যবহার করতে হলে ওই জল একটা পাত্রে উন্মুক্ত অবস্থায় বারো ঘন্টা বা চব্বিশ ঘন্টা রেখে দিতে হবে। এর ফলে ওই জলে থাকা ক্লোরিণ, ফ্লোরিন উবে যাবে। তারপর ওই জল ব্যবহার করা যাবে।
পদ্ধতি:- শুকিয়ে যাওয়া বেশ কিছু চন্দ্রমল্লিকা ফুল সংগ্রহ করে চড়া রোদে ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর ওই শুকনো ফুলগুলোকে মিক্সিতে ভালো করে গুঁড়ো করে নিয়ে চালুনি দিয়ে চেলে মিহি গুঁড়ো আলাদা করে নিয়ে একটা কাঁচের শিশিতে ভরে রেখে দিতে হবে।
প্রয়োগবিধি :– উপরোক্ত এক লিটার জলে কুড়ি গ্রাম চন্দ্রমল্লিকার মিহি গুঁড়ো মিশিয়ে ভালো করে ঝাঁকিয়ে সন্ধ্যার পরে সমস্ত গাছে স্প্রে করতে হবে এবং বাকী জলটুকু টবের মাটিতে ঢেলে দেওয়া যেতে পারে। তবে এটা টবের মাটিতে দিতে হলে আগের দিন মাটি অবশ্যই ভিজিয়ে নিতে হবে।
এই হল শুকিয়ে যাওয়া চন্দ্রমল্লিকা ফুল থেকে জৈব কীটনাশক তৈরীর পদ্ধতি। যারা বাগানে কোনরকম রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করতে চাও না আজকের পর্বের মাধ্যমে নিশ্চয়ই তারা অনেক উপকৃত হবে। এর ভিডিওটি দেখতে হলে নিচের দেওয়া লিংক অনুসরণ করার অনুরোধ রইল। সবাইকে ধন্যবাদ।🙏🙏🙏