এটি একটি জনপ্রিয় হাউস প্লান্ট। এই সমস্ত গাছ বাড়ীর ব্যালকনি,ঘরের শোভা বাড়াতে অতুলনীয়। যারা আলোর অভাবে গাছ করতে পারে না তারা কিন্তু খুব সহজেই এই গাছ করতে পারবে যেহেতু এদের আলোর চাহিদা খুব কম। আজ ফিলোডেনড্রন ফ্যামিলির অন্তর্ভূক্ত একটি হাউস প্লান্ট ফিলোডেনড্রন বিরকিনের সম্পূর্ণ পরিচর্যা বিশদে আলোচনা করছি। যদি তোমরা এই গাছের চাহিদা অনুযায়ী কিভাবে মাটি তৈরি করতে হয় আলোর প্রয়োজনীয়তা এই গাছের জন্য কতটা কতটুকু জল প্রয়োজন হয় কোন ধরনের সার এই গাছে প্রয়োগ করা উচিত এবং এই গাছের রোগ পোকা ও তার সমাধান সম্পর্কিত তথ্য সম্পর্কে বিশদে জানতে চাইলে নিচের লিংকে ক্লিক করে দেখে নিতে পারো I
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ
মাটি :- এই গাছের মাটি তৈরীর তিন ধরনের পদ্ধতি বলা হল। যেকোন এক ধরনের মাটিতে এই গাছ প্রতিস্হাপন করা যেতে পারে।
প্রথম পদ্ধতি :- একভাগ গার্ডেন সয়েল(হাতের কাছে যে ধরনের মাটি আছে),একভাগ নদীর সাদা বালি(Silver sand/horticultural sand),একভাগ ভার্মিকম্পোষ্ট অথবা একবছরেরে পুরোনো পচানো গোবর সার অথবা একবছরের পুরোনো পচানো পাতাপচা সার এবং একভাগ কোকোপিট।
দ্বিতীয় পদ্ধতি :- দুভাগ কোকোপিট,একভাগ লালবালি,একভাগ ভার্মিকম্পোষ্ট।
তৃতীয় পদ্ধতি :- শুধু ভার্মিকম্পোষ্ট, শুধু গোবর সার অথবা সবচেয়ে ভালো হয় শুধু পাতাপচা সার মিডিয়া হিসাবে ব্যবহার করলে। বি:দ্র:– এই ধরনের হাউস প্লান্ট মূলত:পুণে থেকে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।পুণের মাটি যেহেতু লাল হয় তাই এই সব গাছ লাল মাটিতেই বসানো থাকে।যদি লাল মাটিতে বসাতে চাও তবে কোন অসুবিধা নেই কিন্তু যারা উপরিউক্ত মাটি ব্যবহার করতে চাও তাদের অবশ্যই গাছ বসাবার আগে লাল মাটি সম্পূর্ণ ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।গাছ প্রতিস্হাপন করার আগে টবে ঠিকমতো ড্রেনেজ সিস্টেম করা আবশ্যক।
প্রতিস্হাপন পদ্ধতি :- টবের ড্রনেজ সিস্টেম করে নিয়ে প্রয়োজন মতো মাটি দিয়ে গাছটি টবের মাঝবরাবর বসাতে হবে।মাটি দেওয়ার সময় একটু চেপে চেপে দিতে হবে যাতে মাটির মধ্যে থাকা বাতাস বেরিয়ে যায় ফলে গাছের শিকড় পচে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।গাছ প্রতিস্হাপন হয়ে যাওয়ার পর উক্ত গাছ জল ভালোবাসুক বা নাই ভালোবাসুক ভরপুর জল দিয়ে দিতে হবে।বি:দ্র:–মাটি দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে টবের ওপর 2ইঞ্চি ফাঁকা জায়গা থাকে।
আলো :- এই গাছ একেবারে ছায়া পছন্দ করে না আবার কড়া রোদ্দুর ও পছন্দ করে না। তাই এই গাছটা এমন জায়গায় রাখতে হবে যেখানে উজ্জ্বল আলো আসে কিন্তু রোদের তাপ আসবে না।
জল :- গাছটি জল খুব ভালোবাসে তাই একে তৃষ্ণার্ত গাছ বলা হয়। তবে রোজ জল দেওয়ার দরকার নেই। যখন মাটির ময়েশ্চার একটু কমে আসবে তখন জল দিতে হবে। জল বেশি হলে গাছের গোড়া পচে গাছ মারা যেতে পারে। হাউস প্লান্টের টবের নিচে একটা বেশ প্লেট রাখতে হয় যার মধ্যে জল দিলে গাছ সেখান থেকেই জল নিয়ে নিতে পারে। 15দিনে একবার বা দুবার গাছকে পুরো স্নান করিয়ে base plateএ জল ভরে দিতে হবে।
খাবারের ব্যবস্হাপনা :- NPK 19.19.19 বা 20.20.20 এক লিটার জলে এক গ্রাম নিয়ে base plate এ যতটুকু ধরবে ততটুকু দিতে হবে অথবা স্নান করানোর সময় গাছের গোড়া ভিজিয়ে দিতে হবে।এটা মাসে দু বার দিতে হবে। এছাড়া হাউস প্লান্ট এর জন্য খাবার যদি আমার কাছ থেকে নিতে চাও তবে আমার হোয়াটস্অ্যাপ নম্বরে(8972774914) এ যোগাযোগ করতে পারো। এই খাবারটা মাসে একবার দিতে হবে।
গাছের সমস্যা ও তার প্রতিকার :- এই গাছে দুরকম সমস্যা দেখা যায়। পাতা হলুদ হয়ে যায় আর পাতা বাদামী হয়ে যায়।যদি নিচের পাতা হলুদ হয়ে যায় তবে চিন্তার কিছু নেই।কিন্তু ওপরের পাতা জল কম বা বেশী হওয়ার জন্য হলুদ হয়ে যায়। তাই জল সবসময় বুঝে দিতে হবে এবং গাছে কড়া রোদ লাগলে গাছের পাতা বাদামী হয়ে যায়। তাই এই গাছ কখনই কড়া রোদ্দুর আছে এমন জাগাতে রাখা যাবে না। এছাড়া এই গাছে আর কোন রকম সমস্যা দেখা যায় না। এইভাবে স্টেপ বাই স্টেপ ফলো করে তুমি এই ফিলোডেনড্রন বিরকিন খুব সহজেই করতে পারবে। ধন্যবাদ।
Osaadharon
Thanks for information Dada