Calendula officinalis বা Pot marigold মূলত: ইউরোপ মহাদেশের একটি জনপ্রিয় ফুল যা তার রঙের ছটায় ও মোহময়ী রূপের জন্য আপামর জনসাধারণের মন জয় করে আমাদের দেশের অনেকেরই বাগানে বা বাড়ীর সামনের ফাঁকা জায়গায় অন্যান্য সমস্ত শীতকালীন ফুলের সাথে স্ব মহিমায় বিরাজমান। আজ আমি এই ক্যালেন্ডুলা পরিচর্যার পাঁচটি টিপস নিয়ে আলোচনা করব যেগুলো অনুসরণ করে সকলেই তাদের বাড়ীর উঠানকে ক্যালেন্ডুলার রঙের ছটায় ভরিয়ে তুলতে পারবে।
বি:দ্র :– ঘরে বসে যদি তুমি গাছ ও গাছের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পুষ্টিমৌল পেতে চাও, তাহলে 8972774914 হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে যোগাযোগ করে তোমার পছন্দমত গাছ অর্ডার দিতে পারো I শুধুমাত্র ভারতীয়দের জন্যই প্রযোজ্য I
প্রথম টিপস :- যদি সরাসরি মাটিতে বসানো হয় তবে আলাদা করে মাটি তৈরী করার দরকার হয় না। তবে টবে করতে হলে গাছের পছন্দমতো মাটি তৈরী করে নিতে হবে। এই গাছের জন্য উচ্চ জল নিকাশি ব্যবস্হাযুক্ত মাটি দরকার। তাই এই গাছের মাটি তৈরী করতে আমাদের লাগবে একভাগ গার্ডেন সয়েল(হাতের কাছে যে ধরনের মাটি আছে),দুভাগ নদীর সাদা বালি(river sand/silver sand/horticultural sand) ও মাটির হিউমাস তৈরীর জন্য একভাগ ভার্মিকম্পোস্ট বা একবছরের পুরোনো পচানো গোবর সার বা পাতাপচা সার। এর সাথে আট ইঞ্চি টবের জন্য এক চা চামচ ও দশ/বারো ইঞ্চি টবের জন্য দুই চা চামচ ফসফেট মেশাতে হবে।
বি:দ্র :– যদি মাটি তৈরীর সময় ফসফেট দিতে হয় তবে মাটি তৈরীর এক সপ্তাহ পর গাছ প্রতিস্হাপন করতে হবে।যদি ফসফেট না মিশিয়ে মাটি তৈরী করা হয় তবে সরাসরি গাছ বসানো যাবে। তবে এক্ষেত্রে গাছ বসানোর এক সপ্তাহ পর মাটিতে ফসফেট দিতে হবে।
দ্বিতীয় টিপস :- গাছ প্রতিস্হাপনের পর তিনচারদিন বা একসপ্তাহ একটু ছায়াতে রাখতে হবে।এরপর যেখানে সাত-আট ঘন্টা বা ছয়-সাত ঘন্টা রোদ আসে সেখানে রাখতে হবে।এতে ফুলের রঙ খুব ভালো হবে এবং পরিমান ও বেশী হবে। যারা হালকা ছায়াতে করতে চাও তারা ও ফুল পাবে কিন্তু সেক্ষেত্রে ফুলের পরিমান ও রঙের অনেকটাই তারতম্য হবে।
তৃতীয় টিপস :- এই গাছ যেহেতু খুব বেশি জল ভালোবাসে না তাই মাটির ওপরের অংশ যতক্ষণ না এক-দুই ইঞ্চি শুকিয়ে যাবে ততক্ষণ জল দেওয়া যাবে না। তবে এই গাছ যেহেতু ময়েশ্চার খুব ভালোবাসে তাই এমনভাবে জল দিতে হবে যাতে মাটির ময়েশ্চার সবসময় বজায় থাকে।
চতুর্থ টিপস :- এই গাছ ফসফেট খুব ভালোবাসে। তাই মাটি তৈরীর সময় যাদের ফসফেট দেওয়া সম্ভব হয়নি তাদের গাছ বসানোর এক সপ্তাহ পর ফসফেট দিতে হবে। এছাড়া NPK 19.19.19 বা 20.20.20 এক চা চামচ প্রতি কুড়ি দিন পর পর মাটিতে দিতে হবে।এছাড়া জলে দ্রবণীয় NPK একলিটার জলে এক গ্রাম দিয়ে স্প্রে করতে হবে। এছাড়া শীতকালীন সব ফুলগাছের জন্য যে তরল সার আছে সেটাও ব্যবহার করা যেতে পারে।
তরল সার তৈরীর পদ্ধতি
আড়াইশো গ্রাম সরষের খোল এক লিটার জলে 7 দিন ভেজাতে হবে। অষ্টম দিনে তার সাথে এক চা চামচ DAP মেশাতে হবে।নবম দিনে পুরো মিশ্রণ ছেঁকে নিয়ে তার সাথে আর ও পাঁচ লিটার জল মিশিয়ে প্রত্যেকটা গাছে আড়াইশো মিলি করে দিতে হবে।সার দেওয়ার আগের দিন অবশ্যই গাছের গোড়া ভিজিয়ে নিতে হবে।
পঞ্চম টিপস :- এই গাছে মূলত: তিন ধরনের রোগপোকার আক্রমন লক্ষ্য করা যায়। এফিডস,মাইটস এবং সাদামাছি। তাই গাছ বসানোর একসপ্তাহ পর থেকে যদি নিয়মমাফিক ডাইমেথয়েড 30% কম্পোজিসনের রোগর/রোগর প্লাস/টাফগর এই নামের যেকোনো একটি কীটনাশক বাজার থেকে কিনে এনে তা থেকে একলিটার জলে তিরিশ ফোঁটা দিয়ে ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিয়ে গাছগুলিতে নিয়মিত স্প্রে করা যায় তবে এই সমস্ত ধরনের রোগপোকার হাত থেকে গাছ বাঁচানো সম্ভব।
সুন্দর করে ক্যালেন্ডুলা গাছ করার জন্য সকলের কাছে এই পাঁচটি টিপস অনুসরণ করার অনুরোধ রইল।ধন্যবাদ🙏🙏
Thank you for sharing your knowledge
শীতকালিন বাকি ফুল গাছগুলির জন্য এমন tips এর অপেক্ষায় রইলাম